e-shram card থাকলেই সরকারি সুবিধা !  ঘরে বসে কীভাবে বানাবেন?

e-shram card – ঘরে বসে নতুন ই-শ্রম কার্ড ২০২৫-এর জন্য অনলাইনে আবেদন করুন। এই পোস্টে জানুন সহজ পদ্ধতি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধার কথা।

e shram card online 2025
e shram card online 2025

e-shram card

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন, যেমন – রাজমিস্ত্রি, পরিযায়ী শ্রমিক, গৃহকর্মী বা ছোটখাটো নিজস্ব ব্যবসা। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দেশের অর্থনীতির ভিত মজবুত করলেও, অনেক সময়ই আপনারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। আপনাদের এই পরিশ্রমকে সম্মান জানাতে এবং সামাজিক সুরক্ষা দিতে ভারত সরকার নিয়ে এসেছে e-shram card। এই কার্ডটি শুধুমাত্র একটি পরিচয়পত্র নয়, এটি আপনার অধিকার এবং আর্থিক সুরক্ষার চাবিকাঠি ।

আজকের এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব কীভাবে আপনি ঘরে বসেই e shram card online 2025-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন, এর সুবিধা কী এবং আপনার কোন কোন জিনিস হাতের কাছে রাখতে হবে।

e-shram card কী এবং কেন জরুরি?

ই-শ্রম কার্ড হলো অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য তৈরি একটি বিশেষ পরিচয়পত্র, যেখানে একটি ১২ সংখ্যার ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর (UAN) থাকে । সরকার এই কার্ডের মাধ্যমে দেশের সমস্ত অসংগঠিত কর্মীদের একটি ডেটাবেস তৈরি করছে, যাতে যেকোনো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সরাসরি আপনার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় । প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মহামারীর মতো কঠিন সময়ে আর্থিক সাহায্য সরাসরি আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো সম্ভব হবে এই কার্ডের মাধ্যমে ।

বিষয়বিবরণ
কারা আবেদনযোগ্য?১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সী যেকোনো অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী |
প্রয়োজনীয় নথিআধার কার্ড, আধার-লিঙ্কড মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস |
আবেদনের খরচসম্পূর্ণ বিনামূল্যে 
মূল সুবিধা২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বীমা, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা, পেনশন যোজনা 
e-shram card

অনলাইনে ই-শ্রম কার্ড বানানোর সহজ পদ্ধতি (Online Registration)

e shram card registration প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। আপনি আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে সহজেই আবেদন করতে পারবেন । নিচে ধাপে ধাপে পদ্ধতিটি উল্লেখ করা হলো:

  1. অফিসিয়াল পোর্টালে যান: প্রথমে আপনাকে ই-শ্রমের সরকারি ওয়েবসাইটে (eshram.gov.in) যেতে হবে ।
  2. রেজিস্ট্রেশন শুরু করুন: হোমপেজে ‘Register on e-Shram’ অপশন দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করুন ।
  3. মোবাইল নম্বর দিন: আপনার আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বরটি লিখুন এবং ক্যাপচা কোড পূরণ করে ‘Send OTP’ বাটনে ক্লিক করুন ।
  4. OTP ভেরিফাই করুন: আপনার মোবাইলে আসা OTP দিয়ে সাবমিট করুন।
  5. আধার নম্বর দিন: এবার আপনার ১২ সংখ্যার আধার নম্বর লিখে OTP অপশনটি বেছে নিন। আপনার আধার লিঙ্কড মোবাইলে আবার একটি OTP আসবে, সেটি দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন ।
  6. ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ: আপনার আধার কার্ড থেকে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখের মতো কিছু তথ্য নিজে থেকেই চলে আসবে। বাকি জরুরি তথ্য, যেমন – ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পেশা এবং ব্যাঙ্কের বিবরণ সাবধানে পূরণ করুন ।
  7. ফর্ম জমা দিন: সমস্ত তথ্য ঠিক আছে কিনা, তা ভালো করে দেখে নিয়ে ফর্মটি জমা দিন।

এরপরই আপনার ই-শ্রম কার্ড তৈরি হয়ে যাবে এবং আপনি সেটি Download UAN Card অপশনে ক্লিক করে পিডিএফ হিসেবে সেভ করে রাখতে পারবেন ।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা মনে রাখবেন

  • আবেদন করার সময় আপনার আধার কার্ডের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক ।
  • এই কার্ড বানানোর জন্য কোনো টাকা লাগে না, তাই প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকবেন ।
  • ভবিষ্যতে সরকারি সুবিধা পেতে আপনার ব্যাঙ্কের তথ্য যেন সঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • আপনি কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়েও এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন ।

আপনার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করা আপনার আর্থিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। e shram card আপনাকে শুধু একটি পরিচয় দিচ্ছে না, বরং আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য একটি সুরক্ষাকবচ তৈরি করছে। তাই আর দেরি না করে আজই আপনার ই-শ্রম কার্ডের জন্য আবেদন করুন এবং নিজের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করুন।

ই-শ্রম কার্ড বানাতে কি কোনো টাকা লাগে?

না, ই-শ্রম কার্ডের রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। সরকার এর জন্য কোনো ফি নেয় না ।

আমার আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক নেই, আমি কি আবেদন করতে পারবো?

অনলাইন সেলফ-রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার-লিঙ্কড মোবাইল নম্বর জরুরি । যদি আপনার নম্বর লিঙ্ক না থাকে, তবে আপনি নিকটবর্তী কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন ।

ই-শ্রম কার্ডের প্রধান সুবিধা কী?

এর প্রধান সুবিধা হলো ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর বা শারীরিক অক্ষমতার বীমা। এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনার মতো পেনশন প্রকল্পে সহজে নথিভুক্ত হওয়া যায় এবং ভবিষ্যতে সরকারের যেকোনো আর্থিক সহায়তা সরাসরি পাওয়া যায় ।

Leave a Comment

Join whatsapp group Join Now