২০২৫-এ অনলাইনে নতুন পাসপোর্ট সহজেই | Passport application online 2025

Passport application online 2025 – আপনি কি ২০২৫ সালের মধ্যে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান? বর্তমানে, ভারত সরকার পাসপোর্ট তৈরির জন্য একটি নতুন পোর্টাল চালু করেছে। এখন আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং পাসপোর্টও আগের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট হয়ে গেছে। আপনার ই-পাসপোর্ট থাকবে, অর্থাৎ আপনার পাসপোর্টে একটি চিপ থাকবে।

passport application online 2025
passport application online 2025

passport application online 2025 –

পাসপোর্ট (passport) এখন শুধু বিদেশ যাত্রার জন্য একটি নথি নয়, এটি আপনার পরিচয় ও নাগরিকত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। ২০২৫ সালের মধ্যে যদি আপনি একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার জন্য সুখবর! ভারত সরকার একটি নতুন অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে, যা পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং আধুনিক করে তুলেছে। এখন আপনি ঘরে বসেই online passport apply করতে পারবেন, এবং এই নতুন ই-পাসপোর্টে থাকবে একটি অত্যাধুনিক চিপ, যা আপনার ডেটা সুরক্ষিত রাখবে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ধাপে ধাপে জানাবো কিভাবে আপনি Indian passport apply online করবেন এবং নতুন ই-পাসপোর্টের সব সুবিধাগুলো কী কী।

passport application online 2025, পাসপোর্টের প্রকার ও খরচ –

বিবরণসাধারণ পাসপোর্ট (Normal)জরুরি পাসপোর্ট (Tatkaal)
ফি₹1500₹3500
সময়কাল৭-১৫ দিন (প্রায়)দ্রুত (পুলিশ ভেরিফিকেশন পরে)
প্রয়োজনীয়তাস্ট্যান্ডার্ড ডকুমেন্টঅতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগতে পারে
Passport apply online 2025, passport application online 2025

কেন এখনই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন?

পাসপোর্টের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। এটি কেবল ভ্রমণের জন্যই নয়, অনেক সরকারি এবং বেসরকারি কাজেও প্রয়োজনীয়। পাসপোর্ট তৈরি করতে কিছু সময় লাগে, এবং এর সাথে কিছু নিয়মকানুনও জড়িত। তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার পাসপোর্ট বানিয়ে নেওয়া উচিত।

passport application online 2025, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনার passport apply online করার জন্য কিছু জরুরি কাগজপত্র লাগবে। সাধারণত, আপনার High School Marksheet এবং Aadhaar Card থাকলেই আপনি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিছু ক্ষেত্রে, যদি আপনার মার্কশীট না থাকে, তাহলে শুধুমাত্র আধার কার্ডের মাধ্যমেই আপনি পাসপোর্ট বানাতে পারবেন। নিশ্চিত করুন যে আপনার সমস্ত নথিতে নাম, বাবার নাম এবং জন্মতারিখের মতো তথ্যগুলো একই আছে, অন্যথায় আপনার আবেদন স্থগিত হতে পারে।

passport application online 2025, অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া: ধাপে ধাপে নির্দেশিকা

passport kaise apply kare ভাবছেন? প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ: –

  1. পোর্টাল অ্যাক্সেস: প্রথমে আপনার ব্রাউজার ওপেন করুন এবং ‘passport seva’ লিখে সার্চ করুন। অথবা সরাসরি passportindia.gov.in ওয়েবসাইটে যান।
  2. নতুন ব্যবহারকারী নিবন্ধন: পোর্টালে আপনার একটি ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। ‘Register’ অপশনে ক্লিক করুন। ‘Register To Apply At’ সেকশনে ‘Passport Office’ অপশনটি বেছে নিন। আপনার বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিস নির্বাচন করুন।
  3. ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ: আপনার পুরো নাম (আধার কার্ড অনুযায়ী), ইমেল আইডি লিখুন। আপনি আপনার ইমেল আইডিকেই ইউজার আইডি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। একটি সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড সেট করুন।
  4. ইমেল ভেরিফিকেশন: আপনার ইমেল আইডিতে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাঠানো হবে। কোডটি দিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করুন।
  5. লগইন এবং আবেদন শুরু: একবার অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেলে, আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। ড্যাশবোর্ডে ‘Apply Fresh Passport/Reissue Passport’ অপশনে ক্লিক করুন।
  6. পাসপোর্টের ধরন নির্বাচন: ‘Fresh Passport’ অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর ‘Normal’ নাকি ‘Tatkaal’ পাসপোর্ট চান, তা বেছে নিন। Normal passport apply করতে ₹1500 ফি লাগে, আর Tatkaal passport apply করতে ₹3500 লাগে। Tatkaal পাসপোর্টে কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন পরে হয়। পেজের সংখ্যা (৩৬ বা ৬০) নির্বাচন করুন। সাধারণত ৩৬ পেজের পাসপোর্টই যথেষ্ট।
  7. ব্যক্তিগত বিবরণ: আপনার নাম, লিঙ্গ, জন্মতারিখ, জন্মস্থান (রাজ্য ও জেলা), বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। আপনার যদি প্যান কার্ড বা ভোটার আইডি থাকে, তাহলে তার নম্বর উল্লেখ করতে পারেন।
  8. ECR ও Non-ECR ক্যাটাগরি: এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি দশম শ্রেণী বা তার বেশি হয়, তাহলে আপনি Non-ECR (Emigration Check Required) ক্যাটাগরির পাসপোর্ট পাবেন। এটি বেশি সুবিধাজনক কারণ এতে ইমিগ্রেশন চেক লাগে না। যদি আপনার যোগ্যতা দশম শ্রেণীর কম হয়, তাহলে ECR ক্যাটাগরির পাসপোর্ট পাবেন।
  9. পারিবারিক বিবরণ: আপনার বাবা-মা এবং প্রয়োজনে অভিভাবকের নাম ও তথ্য দিন।
  10. বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা সঠিকভাবে পূরণ করুন। যদি দুটি ঠিকানা একই হয়, তাহলে ‘Yes’ অপশনটি নির্বাচন করুন। পুলিশ ভেরিফিকেশন আপনার বর্তমান ঠিকানায় হবে।
  11. জরুরি যোগাযোগ: যেকোনো জরুরি অবস্থার জন্য একজন পরিচিত ব্যক্তির (যেমন পরিবারের সদস্য) নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিন।
  12. অন্যান্য প্রশ্নাবলী: কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হবে, যেমন আপনার আগে কোনো পাসপোর্ট ছিল কিনা, আপনার বিরুদ্ধে কোনো ক্রিমিনাল কেস আছে কিনা ইত্যাদি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ‘No’ নির্বাচন করতে হবে, যদি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না হয়।
  13. পাসপোর্ট প্রিভিউ এবং ডকুমেন্ট নির্বাচন: আপনার পূরণ করা তথ্যের একটি প্রিভিউ দেখতে পাবেন। ভালো করে মিলিয়ে নিন। এরপর, জন্ম তারিখের প্রমাণপত্র এবং ঠিকানা প্রমাণপত্রের জন্য ডকুমেন্ট নির্বাচন করুন (যেমন, আধার কার্ড, মার্কশীট, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি)।
  14. ফি প্রদান ও অ্যাপয়েন্টমেন্ট: তথ্য সেভ করার পর ‘Submit’ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর ‘Pay and Schedule Appointment’ অপশনে ক্লিক করে অনলাইনে ফি প্রদান করুন। আপনি ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, নেট ব্যাংকিং বা UPI ব্যবহার করতে পারেন। পেমেন্ট সফল হলে, আপনার নিকটবর্তী পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (PSK) বা পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (POPSK) এ অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময় নির্বাচন করুন।
  15. অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লিপ: পেমেন্ট সফল হলে অ্যাপয়েন্টমেন্ট রসিদটি প্রিন্ট করে নিন। এতে আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ, সময় এবং কেন্দ্রের ঠিকানা থাকবে।

পাসপোর্ট অফিসে ভিজিট এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন

অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখে, প্রিন্ট করা স্লিপ এবং আপনার সমস্ত আসল নথি (এবং তাদের ফটোকপি) সহ পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান। সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ ও ছবি) নেওয়া হবে এবং ডকুমেন্ট স্ক্যান করা হবে।

পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার ফাইল অনুমোদিত হওয়ার পর, পুলিশ ভেরিফিকেশন (Police Verification) হবে। আপনার ফাইল প্রথমে এসপি অফিসে যাবে, তারপর আপনার স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে আসবে। পুলিশ আপনার বর্তমান ঠিকানায় এসে যাচাই করতে পারে অথবা আপনাকে থানায় ডেকে পাঠাতে পারে। আপনার দেওয়া ডকুমেন্টগুলির ফটোকপি এবং কিছু ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রধানের কাছ থেকে একটি প্রমাণপত্র (বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়) দেখাতে হতে পারে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পূর্ণ হলে, আপনার পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের জন্য চলে যাবে।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস –

  • passport application online 2025 – এর জন্য সবসময় অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (passportindia.gov.in) ব্যবহার করুন।
  • সমস্ত তথ্য সাবধানে পূরণ করুন, বিশেষ করে নাম, জন্মতারিখ এবং ঠিকানা।
  • অ্যাপয়েন্টমেন্টের অন্তত ১৫ মিনিট আগে পাসপোর্ট অফিসে পৌঁছান।
  • আসল ডকুমেন্ট এবং তাদের ফটোকপি সাথে নিয়ে যান।
  • পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় সহযোগিতা করুন। কোনো অবৈধ অর্থ প্রদান করবেন না।

উপসংহার –

আশা করি এই নির্দেশিকা আপনাকে passport application online 2025 এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছে। নতুন ই-পাসপোর্ট এবং অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আপনার জন্য পাসপোর্ট পাওয়াকে আরও সহজ করে তুলেছে। নির্ভুল তথ্য এবং সঠিক নথি সহকারে আবেদন করলে, খুব দ্রুতই আপনি আপনার নতুন পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাবেন। তাই আর দেরি না করে এখনই পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করুন এবং নিজের ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ করুন!

আমি কি আমার মোবাইল ফোন থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারি?

উত্তর: হ্যাঁ, আপনি আপনার মোবাইল ফোন থেকে পাসপোর্ট সেবা ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।

যদি আমার কাছে হাই স্কুলের মার্কশীট না থাকে, তাহলেও কি আমি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারব?

উত্তর: হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আধার কার্ড ব্যবহার করেও পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। তবে, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ECR বা Non-ECR ক্যাটাগরি নির্ধারিত হবে।

পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় কি কোনো টাকা দিতে হয়?

উত্তর: না, সরকার নির্ধারিত অনলাইন ফি ছাড়া পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য কোনো অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না। যদি কেউ টাকা চায়, তাহলে সেটি অবৈধ।

Tatkal পাসপোর্ট কতদিনে হাতে পাবো?

উত্তর: Tatkal পাসপোর্ট সাধারণত ৭–১০ দিনের মধ্যে ডেলিভারি হয়।

পুলিশ ভেরিফিকেশন কতদিন সময় নেয়?

উত্তর: সাধারণত ৪-৭ দিনের মধ্যে পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়। তবে, এটি আপনার এলাকার পুলিশের উপর নির্ভর করে।

Leave a Comment

Join whatsapp group Join Now